ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ সিস্টেমে ট্রাফিক ব্যবস্থা

0
1

স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে সব ক্ষেত্রে। কিন্তু এখনো হাতের ইশারায় চলে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা। সারাদেশে ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লাগলেও সড়কে তার প্রতিফলন নেই। তার ওপর আছে সমন্বয়হীনতা আর প্রক্রিয়াগত গলদ। তাই অব্যবহৃত  পড়ে আছে কোটি টাকার স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থা।

ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করে লাখ লাখ যান্ত্রিক যানবাহন। এগুলো নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। নগরীজুড়ে যত্রতত্র পার্কিং, ট্রাফিক নির্দেশনা না মানা, অবৈধ যানবাহন চলাচল , সব মিলে চরম অব্যবস্থাপনা ট্রাফিক সিস্টেমে।

মহানগরীর সাড়ে ৬শ সড়ক সংযোগ সড়কে কাজ করে প্রায় ৩ হাজার ট্রাফিক পুলিশ। এর মধ্যে শুধু গুলশান-২-এ রঙিন বাতির ব্যবহার রয়েছে, বাকি সব চলে হাতের ইশারায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় দায়িত্বরতদের, প্রাণহানির ঘটনাও বিরল নয়।

সনাতন পদ্ধতিতে কাজ করাতে একদিকে কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে তেমনি ট্রাফিক পুলিশের জীবন ও স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে। যাত্রীদের চাওয়া একটি স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা।

সড়কের সিগন্যালিং ব্যবস্থা আধুনিকায়নের জন্য গত ১০ বছরে কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিলেও এখন পর্যন্ত কোনটিই কার্যকর করা যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ছাড়া শুধু আইনের কথা বললে পরিস্থিতি বদলাবে না।

দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে রাজধানীতে সিগন্যাল বাতি রয়েছে ১শ পয়েন্টে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। নানা ব্যর্থতা কাটিয়ে নতুন করে আধুনিকায়নের কথা বলছে তারা।

রাজধানীর সড়কগুলোয় ব্যাপক হারে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপন শুরু হয় ২০০৪ সালের পর। পরবর্তী দুই দশকে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপনে প্রায় ২শ কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। বিপুল অর্থ খরচ হলেও, কোনো সুফলই পায়নি রাজধানীবাসী।