বাসের ই-টিকিটিং গায়েব

0
4

বাস ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা কিংবা পাঁচ-দশ টাকার জন্য মারামারি। ঢাকার গণপরিবহনে সবই হয়। এসব কমাতে চালু হয়েছিল ই-টিকিটিং পদ্ধতি। যা মুখ থুবড়ে পড়ে কয়েক মাস পরই। এখন সেই পদ্ধতিই গায়েব। এমন দশার জন্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দোহাই দিচ্ছেন বাস মালিকরা।

 

মাথার উপর দ্রুতগতির মেট্রোরেল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। মোড়ে মোড়ে ফ্লাইওভার। তবুও যানজট মুক্ত হচ্ছে না ঢাকা। এর অন্যতম একটি কারণ সড়কে বিশৃঙ্খলা। শৃঙ্খলা ফেরাতে চালু হয়েছিল নগর পরিবহন সেবা। তারও এখন মরণ দশা। বাসের ভাড়া নৈরাজ্য কমাতে চালু হয়েছিল ই-টিকিটিং পদ্ধতি। যা বছর ঘুরতে না ঘুরতেই গায়েব।

ঢাকার বিভিন্ন রুটের ৫৯টি পরিবহন কোম্পানির ৩ হাজার ৩০৭টি বাসে ই-টিকিটিং চালু হয়েছিল। তখন নির্ধারিত ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারায় স্বস্তি জানান যাত্রীরা। তবে এখন ই-টিকিটিং না থাকায়, আগের মতোই ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ তাদের।

 

শুরুর দিকে বাসগুলো মেশিনের মাধ্যমে টিকিট দিতো, পথে মনিটরিং করতো মালিক সমিতি। আর এখন তো বাস থেকেই গায়েব ই-টিকিটিং পদ্ধতি। কেউ বলছে মেশিন নষ্ট। কেউ বলছে চার্জ নেই। ভাড়া কাটছেন যে যার মতো।

 

বাস মালিকরা যেন অসহায়। কিছু বাস কেবল নিয়ম রক্ষা করতে চালু রেখেছে মেশিন। পরিবহন মালিক সমিতি দায় স্বীকার করলেও, দিচ্ছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দোহাই।

সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া ঢাকার পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

গত বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা ও আশাপাশের এলাকায় চলাচলকারী ৫ হাজার ৬৫০টি বাসের সবগুলোই ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসার কথা। সেই সময়সীমার পার হওয়ার পর, আরও এক বছর পেরোলেও তা আর হয়নি।